নিউজ ডেস্ক || মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহা আজ প্রজ্ঞা ভবনে ডেন্টাল মেডিকেল অফিসার, নার্সিং অফিসার এবং কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের জন্য একটি রাজ্য-স্তরের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ত্রিপুরা ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন, আগরতলা ডেন্টাল কলেজ এবং আই.জি.এম. হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই দুই দিনের কর্মসূচি জাতীয় মৌখিক স্বাস্থ্য এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের উপর কেন্দ্রীভূত।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের জেলা ও উপ-বিভাগীয় হাসপাতালগুলিতে আধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। রাজ্যে ইতিমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে, এবং লিভার ও হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে (এজিএমসি) ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুপার স্পেশালিটি ব্লক এই দিশায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কৈলাসহর এবং বিশালগড় হাসপাতালের জন্য দুটি রক্ত সংগ্রহ ও পরিবহন ভ্যানের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, এমবিবিএস, ডেন্টাল সায়েন্স এবং নার্সিং শিক্ষায় আগের তুলনায় অনেক বেশি ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রেফারেল হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালে আরও আন্তরিকতা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতে হবে। হাসপাতাল প্রশাসনের দক্ষতা বাড়াতে হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে ৫.১৬ লক্ষ মানুষ প্রায় ১৭ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। চোখের চিকিৎসার জন্য আগরতলায় একটি রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথালমোলজি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগরতলা ডেন্টাল কলেজকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেরা ডেন্টাল কলেজে রূপান্তরিত করতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রাজ্যে ১৯,০০০-এর বেশি সরকারি চাকরি প্রদান করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা ২৮টি রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রাজীব দত্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পরিচালক ড. তপন মজুমদার, আগরতলা ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপাল ড. শালু রায় এবং পরিবার কল্যাণ ও প্রতিরোধ বিভাগের পরিচালক ড. অঞ্জন দাস। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যুগ্ম পরিচালক ড. অলোক দেব স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।