ঐক্যে অখণ্ডতা, বিভাজনের স্মৃতি থেকে শিক্ষা

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। জাতিকে বিভাজনের হাত থেকে রক্ষা করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটিই দেশকে আরও শক্তিশালী করবে। আজ আগরতলার এমবিবি কলেজের রবীন্দ্র হলে আয়োজিত বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবসের রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রাখেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই দিনটি আমাদের ইতিহাসের বেদনাদায়ক অধ্যায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দেশভাগের সময় কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, কত মা-বোনের সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হয়েছে, কত শিশু নিখোঁজ হয়েছে এবং কত মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন—এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই দিন পালনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশভাগের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে এই দিন পালন শুরু হয়। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের এই ইতিহাস জানা দরকার। সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের যুগে আমরা বিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি, কিন্তু ইতিহাসের প্রতি সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ব্রিটিশদের ‘বিভাজন ও শাসন’ নীতির সমালোচনা করে বলেন, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন রাজনৈতিক স্বার্থে সৃষ্ট হয়েছিল, যা দেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছিল।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর আদর্শের কারণে হিন্দু বাঙালিরা নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের দেশ ও রাজ্যের জন্য চিন্তা করতে হবে। বিভাজনের চেষ্টা এখনও কিছু মানুষ করে চলেছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে তা প্রতিহত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে খাদ্য ও পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মন, এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিভাস দেব, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, এমবিবি কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল ভদ্র সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গুণীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার প্রতি সকলের দায়বদ্ধতার বার্তা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version