ঐতিহ্যের ধারক কের পূজায় মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পালিত কের পূজা রাজ্যবাসীর কল্যাণ ও অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষার প্রতীক হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে। রাজা ত্রিলোচনের সময় থেকে শুরু হওয়া এই পূজা বর্তমানে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণ ছাড়াও রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামাঞ্চলে নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। আজ সকালে আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী কের পূজা পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এ কথা জানান।
পূজাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী কের-এর গন্ডির বাইরে থেকে পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “খার্চি পূজার ঠিক চৌদ্দ দিন পর কের পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজা ত্রিপুরার জাতি-জনজাতি সহ গোটা রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা এবং সৌভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে পালিত হয়।” তিনি উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে এই পূজার আয়োজনকে রাজ্যের গৌরবময় সংস্কৃতির ধারক হিসেবে উল্লেখ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী কের পূজা উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “এই পূজা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি সমস্ত রাজ্যবাসীর জন্য মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করি।” এই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার এবং সমাজসেবী বিপিন দেববর্মা।
কের পূজা, যার অর্থ ‘সীমানা’ বা ‘গন্ডি’, ত্রিপুরার রাজাদের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পূজা নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে আয়োজিত হয় এবং রাজ্যের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দেবতার কাছে প্রার্থনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিদর্শন এবং শুভেচ্ছা বার্তা রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায়।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version