কমলাসাগরে জলের পাম্প নিয়ে বিতর্ক: বিধায়িকা ও মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে টাকার লেনদেনের অভিযোগ, তালা ঝুললো পাম্পে

নিউজ ডেস্ক || কমলাসাগর বিধানসভার ২৬ নম্বর কার্ড এলাকায় জলের পাম্পের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, বিধায়িকা এবং কমলাসাগর মণ্ডল সভাপতি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পরিবর্তে ২ নম্বর ওয়ার্ডের একজনকে এই চাকরি দিয়েছেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার সকালে একত্রিত হয়ে নতুন জলের পাম্পের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং পাম্পের দরজায় অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২৬ নম্বর কার্ড এলাকা একটি উঁচু টিলাভূমি অঞ্চল, যেখানে প্রায় ৯০টি পরিবার বসবাস করে। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা ছিল। জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাস আগে এখানে একটি জলের পাম্প স্থাপন করা হয়। স্থানীয় বিধায়িকা, পঞ্চায়েত প্রধান এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পাম্প অপারেটরের চাকরি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একজন বেকার যুবককে দেওয়া হবে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ করেই ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে অমরেশ সরকারকে এই চাকরি দেওয়া হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিধায়িকা এবং মণ্ডল সভাপতি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে চাকরি এই ওয়ার্ড থেকেই দেওয়া হবে। কিন্তু তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে অমরেশ সরকারকে চাকরি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ জনগণ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি, যতক্ষণ না ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউকে চাকরি দেওয়া হবে, ততক্ষণ অমরেশ সরকারকে পাম্পে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তারা পাম্পের দরজায় তালা ঝুলিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বিধায়িকা জনগণের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রেখে নিজের খেয়ালখুশি মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এর ফলে জনগণের মধ্যে বিধায়িকা এবং তাঁর দলের প্রতি ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। কিছু দলীয় কর্মী এমনকি অভিযোগ করেছেন যে, বিধায়িকা বহিরাগত হওয়ায় দলের ক্ষতি হলেও তাঁর কিছু যায় আসে না। তারা বলছেন, তিনি দলকে বিপাকে ফেলে নিজের জায়গায় ফিরে যাবেন।

এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জনগণের দাবি, যতক্ষণ না তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ পাম্পে তালা ঝুলিয়ে রাখা হবে। এই বিতর্ক কীভাবে সমাধান হবে, তা নিয়ে সকলের দৃষ্টি এখন বিধায়িকা ও স্থানীয় প্রশাসনের দিকে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version