নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হলো। সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগরে অবস্থিত কসবা কালী মন্দির পরিসরে এবং ভার্চুয়ালি চতুর্দশ দেবতা মন্দিরের পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, যা রাজ্যের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, “আগে জাতীয় সড়ক থেকে কসবেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য রাস্তার অসুবিধা ছিল। পূর্ত দপ্তরের সহযোগিতায় প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের উন্নয়ন করা হয়েছে। এখন অল্প সময়ে মন্দিরে পৌঁছানো সম্ভব। এডিবি’র সহায়তায় কসবেশ্বরী ও চতুর্দশ দেবতা মন্দিরকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হবে।”
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। চলতি বাজেটে পরিকাঠামোর জন্য প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও, এডিবি ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং বাইরের পর্যটকদের আগমন রাজ্যের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।”
কসবেশ্বরী মন্দিরে ভাদ্র মেলা এবং চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে খারচি মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। এই দুই ধর্মীয় কেন্দ্রের উন্নয়ন উচ্চমানের হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, চলতি বছরে রাজ্যে ৭৭২ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
ত্রিপুরা মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সিকিমের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, উদয়পুরে ৫১ শক্তিপীঠ পার্কের শিলান্যাস করা হয়েছে, যা পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এছাড়া, টাটা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পুষ্পবন্ত প্যালেসে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রায় ২০০ জনের কর্মসংস্থান হবে।
অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, জেলাশাসক ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা, পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত বাদল নেগি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। চতুর্দশ দেবতা মন্দির থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী।