রঙিন তরমুজের বৈচিত্র্যে নারায়ণ সরকারের কৃষি উদ্যোগ, স্বাবলম্বিতার নতুন দিশা
নিজস্ব প্রতিনিধি || ত্রিপুরার গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা এলাকার কৃষক নারায়ণ সরকার তার উদ্ভাবনী কৃষি উদ্যোগের মাধ্যমে সকলের নজর কেড়েছেন। দীর্ঘ বছর ধরে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত নারায়ণ তার জমিতে মরিচ, পিঁয়াজ, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজির চাষের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চাষ করছেন বিভিন্ন প্রজাতির তরমুজ। তার চাষকৃত তরমুজের মধ্যে কিছু প্রজাতির ভেতরের অংশ লাল, কিছু হলুদ এবং কিছু সবুজ। বাজারে হলুদ ও সবুজ তরমুজের ব্যাপক চাহিদার কারণে তিনি এই প্রজাতিগুলোর উপর বেশি জোর দিয়েছেন এবং উন্নতমানের তরমুজ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন।
নারায়ণ সরকারের এই অনন্য তরমুজ চাষের খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল, ২০২৫) বিকেলে তার ক্ষেত পরিদর্শনে ছুটে আসেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা ড. পি. বি. জমাতিয়া এবং বিভাগের একাধিক আধিকারিক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ দাস।
কৃষিমন্ত্রী নারায়ণের তরমুজ ক্ষেত ঘুরে দেখে মুগ্ধ হন এবং তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “সরকার সবাইকে চাকরি দিতে পারে না, কিন্তু নারায়ণ সরকারের মতো উদ্যোগী হলে তরমুজ ও সবজি চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এমনকি সরকারি চাকরির চেয়েও বেশি আয় করা যায়।” মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে, নারায়ণের কঠোর পরিশ্রম ও উদ্যোগের ফলেই তার ক্ষেতে বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু তরমুজ ফলেছে। তিনি নারায়ণকে আরও বেশি উৎসাহ দিয়ে বলেন, “আপনি এভাবে এগিয়ে গেলে রাজ্যের সেরা কৃষকের স্থান অর্জন করতে পারবেন।”
নারায়ণ সরকার জানান, তার তরমুজ চাষে রাসায়নিকের ব্যবহার কম এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করেন, যা বাজারে এর চাহিদা বাড়িয়েছে। তার এই কৃষি উদ্যোগ কাঞ্চনমালা এলাকার অন্যান্য কৃষকদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
কৃষিমন্ত্রীর এই পরিদর্শন ও নারায়ণ সরকারের সাফল্য কাঞ্চনমালাকে কৃষি উদ্যোগের একটি নতুন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরেছে। এই ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।