চল্লিশ বছরের অবহেলা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ফুঁসছে এলাকাবাসী

2 Min Read

কদমতলা-ধর্মনগর সড়কের বেহাল দশা: পথ অবরোধে ইচাই জয়পুরের বাসিন্দারা

নিউজ ডেস্ক || দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে কদমতলা থেকে ধর্মনগর যাওয়ার মূল সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা ইচাই জয়পুর এলাকার বাসিন্দাদের পথ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। বারবার প্রশাসনের কাছে সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোনো ফল মেলেনি। ফলে, বাধ্য হয়ে আজ (১৭ জুন, ২০২৫) সকালে পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

অবরোধের জেরে রাস্তার দুই দিকে যান চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এতে নিত্যযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। তারা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন, তবে সংবাদ লেখা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।

ইচাই জয়পুরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই রাস্তার দুর্দশা দীর্ঘদিনের। বিগত বছরগুলোতে একাধিকবার সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের তরফে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কেবল কথার কথাই থেকে গেছে। কোনো বাস্তব পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আজ ফের রাস্তায় নেমেছেন।

এক বাসিন্দা বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা প্রাণের ঝুঁকি নেওয়ার সমান। বর্ষাকালে তো পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। আমরা বারবার বলেও কিছু হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল।”

অবরোধের ফলে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, অফিসযাত্রী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এক নিত্যযাত্রী বলেন, “এই রাস্তার অবস্থা সত্যিই খারাপ। তবে অবরোধের জন্য আমাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা।”

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তবে এলাকাবাসী স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তারা অবরোধ তুলবেন না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে যোগাযোগ করা হলে কোনো সদুত্তর মেলেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতাই এই সমস্যাকে দীর্ঘায়িত করেছে। তারা দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ লেখা পর্যন্ত পথ অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই আন্দোলন আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version