জনপ্রতিনিধি ও দপ্তরের সমন্বয়ে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে: পর্যটনমন্ত্রী

By onlinenews tripura 3 Min Read

আগরতলা || রাজ্যের সাধারণ মানুষের কল্যাণে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের সবসময় মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। তবেই রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সাধারণ সভায় একথা বলেন। সভায় পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সদস্য-সদস্যাগণ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানগণ, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ ও বিভিন্ন ব্লকের বিডিওগণ উপস্থিত ছিলেন।

জিলা পরিষদের সাধারণ সভায় পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারিরা হলেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের মূল ভিত্তি। তারা সক্রিয় হলেই পানীয়জল, শিক্ষা, আবাসন, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, কৃষি, সেচ, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে রাজ্য এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিগণকে পঞ্চায়েত ভিত্তিক পানীয়জলের কি সমস্যা রয়েছে তা জেনে দপ্তরকে অবহিত করতে হবে। মান্দাই, জিরানীয়া, বেলবাড়ি ও পুরাতন আগরতলা ব্লকে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি টিম গঠন করা হবে।

সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল এই জেলার প্রতিটি ব্লকের বিডিওগণকে চলতি মাসের মধ্যে প্রতিটি ব্লকে সাধারণ সভা করার আহ্বান জানান। সভায় পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার প্রতিটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি দপ্তরগুলির ‘অ্যানুয়াল অ্যাকশান প্ল্যান’ মঞ্জুরের জন্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত থেকে অনুমোদন নেবার আহ্বান জানান। জেলাশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ ও শহরী) ফেজ-ওয়ান ও ফেজ টু-তে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার পাকা আবাস নির্মাণ করা হয়েছে।

সভায় ত্রিপুরা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থার আধিকারিক জানান, পিএম কুসুম প্রকল্পে কৃষকের জমিতে জল সেচের জন্য বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সমাজশিক্ষা পরিদর্শক জানান, পশ্চিম জেলায় ৩৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসকের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে। পশ্চিম জেলায় মোট ভাতা পান ৮৫ হাজার ৫৯৯ জন। জেলা শিল্প কেন্দ্রের ম্যানেজার জানান, প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে এই জেলায় এই অর্থবছরে ৩০৯ জন বেকার যুবক যুবতীকে ঋণ দেবার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪৩ জনের নামে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। স্বাবলম্বন প্রকল্পে ঋণ দেবার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০১৪ জনকে। ১৫১ জনের নামে মঞ্জুরী দেওয়া হয়েছে। তিনি পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার বিষয়ে বলেন, এ প্রকল্পে পশ্চিম জেলায় বিভিন্ন ট্রেডে ৯,২৩৪ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।

ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার জানান, পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলী যোজনায় পশ্চিম জেলায় ২, ১৪৪ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩০টি ঘরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ণ করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ মোহনপুর বিদ্যালয়ে এবিষয়ে ক্যাম্প করা হবে। পর্যটন মন্ত্রী এই প্রকল্পের বিষয়ে সারা রাজ্যে সচেতনতামূলক ক্যাম্প আয়োজন করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। এছাড়া পূর্ত, শিক্ষা, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা, প্রভৃতি দপ্তরের আধিকারিকগণ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনার সূচনা করেন পঞ্চায়েত আধিকারিক অভিজিৎ দাস। সভায় পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের প্রয়াত সভাধিপতি বলাই গোস্বামীর প্রয়াণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version