জাতিভিত্তিক জনগণনা থেকে উন্নয়নের পথে: কেন্দ্রের নতুন দিগন্ত

নিউজ ডেস্ক || কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে বুধবার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে আগামী জাতীয় জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারতের জনগণনায় দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, “জাতিগত তথ্য সংগ্রহ স্বচ্ছ ও কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে করা হবে। নির্ভুলতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তথ্যভিত্তিক নীতিনির্ধারণ আমাদের লক্ষ্য।” তিনি কংগ্রেস ও বিরোধী জোটের সমালোচনা করে বলেন, “তারা রাজনৈতিক স্বার্থে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিকে হাতিয়ার করেছে, জনকল্যাণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।”

স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ নিয়মিতভাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই বিষয়ে আশ্বাস দিলেও, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার কেবল একটি পৃথক সামাজিক-অর্থনৈতিক ও জাতিভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়েছিল। বৈষ্ণব জানান, কিছু রাজ্যে স্বতন্ত্র জাতিভিত্তিক সমীক্ষা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্র জাতীয় জনগণনায় এই তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এছাড়া, মন্ত্রিসভা ২০২৫-২৬ মরশুমের জন্য আখের ন্যায্য ও লাভজনক মূল্য (FRP) প্রতি কুইন্টাল ৩৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। এতে প্রায় ৫ কোটি আখচাষি উপকৃত হবেন। চিনি পুনরুদ্ধার হার ৯.৫ শতাংশের নিচে হলেও চাষিরা ন্যূনতম ৩২৯.০৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল পাবেন।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে মন্ত্রিসভা ২২,৮৬৪ কোটি টাকার একটি মহাসড়ক প্রকল্প অনুমোদন করেছে। শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত এই মহাসড়ক অসম ও মেঘালয়ে যাতায়াত ও বাণিজ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

এই সিদ্ধান্তগুলো সামাজিক ন্যায়বিচার, কৃষক কল্যাণ ও আঞ্চলিক উন্নয়নে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version