নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরা টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) ২০২৫-এর প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র নিয়ে আবারও অভিযোগের ঝড় উঠেছে। রবিবার আগরতলার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরীক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের টেট পরীক্ষায় সঠিক বলে গৃহীত উত্তরগুলো ২০২৫ সালের পরীক্ষায় ভুল বলে কেটে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, ভুল ও সিলেবাস-বহির্ভূত প্রশ্নগুলো খতিয়ে দেখে প্রাপ্য নম্বর দেওয়ার জন্য টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড অফ ত্রিপুরার (টিআরবিটি) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, টেট পেপার I ও পেপার II-এর প্রশ্নপত্রে বেশ কিছু ভুল ও সিলেবাসের বাইরে থাকা প্রশ্ন ছিল, যা তাদের ফলাফলের উপর প্রভাব ফেলেছে। তারা দাবি করেছেন, এই বিষয়ে সংশোধনের জন্য টিআরবিটির কাছে আবেদন করা হলেও, শুক্রবারের এক সাংবাদিক সম্মেলনে টিআরবিটি স্পষ্ট জানিয়েছে যে চূড়ান্ত উত্তরপত্রে কোনও পরিবর্তন করা হবে না।
টিআরবিটি জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের দেওয়া চ্যালেঞ্জ ও রেফারেন্স বিষয় বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা যদি পরীক্ষার্থীদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হন, তবেই উত্তরপত্রে পরিবর্তন গৃহীত হয়। কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের যুক্তি গৃহীত হয়েছে এবং সে অনুযায়ী সংশোধন করা হয়েছে। তবে, চূড়ান্ত উত্তরপত্র সংশোধনের কোনও অধিকার টিআরবিটির নেই বলে তারা জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবলেও, আর্থিক সঙ্গতির অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন। টিআরবিটি পরীক্ষার্থীদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, কিন্তু এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে অনেকেই পিছিয়ে পড়ছেন।
পরীক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের সমস্যা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। টেট পরীক্ষা ত্রিপুরার সরকারি ও সরকারি-অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষকতার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। তাই, উত্তরপত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। তারা টিআরবিটির কাছে আরও স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তাদের প্রাপ্য নম্বর এবং সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হতে হয়।