নিউজ ডেস্ক || সর্বশিক্ষা অভিযান (এসএসএ) কর্মচারী সংঘ অভিযোগ করেছে, ত্রিপুরা সরকার উচ্চ আদালতের দু’বারের নির্দেশ অমান্য করে হাজার হাজার চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের নিয়মিতকরণ করছে না। আগামী ১২ নভেম্বর ডেপুটেশনের মধ্য দিয়ে রাজ্যব্যাপী আন্দোলন শুরু হবে বলে ঘোষণা করেছে সংঘ।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে সংঘ জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরা উচ্চ আদালত পাঁচ বছর চাকরির পর নিয়মিত বেতনস্কেল এবং দশ বছর পর পূর্ণ স্থায়ীকরণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সরকার তা পালন করেনি। উল্টে, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বিজেপির দেওয়া নিয়মিতকরণের প্রতিশ্রুতি ভুলে, রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করেছে।
আদালতের একাধিক রায়ে বলা হয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০১ থেকে ২৩ আগস্ট ২০১০-এর মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত এসএসএ শিক্ষকদের বিএড বা ডি-এল-এড-এর প্রয়োজন নেই। এই রায়ের ফলে বর্তমানে কর্মরত অন্তত ২,০০০ শিক্ষক নিয়মিতকরণের অধিকারী। ২০২১-এ আদালত সরকারকে নিয়মিতকরণের পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশও দেয়। সংঘের মুখপাত্র বলেন, “নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তো দূর, আদালতের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করছে সরকার।”
২০১৮ সালের বিজেপি ভিশন ডকুমেন্টে এসএসএ কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি ছিল। ক্ষমতায় আসার পরও বিলম্ব, আংশিক প্রকল্প আর আদালত অবমাননার মামলা চলছে। চার হাজারের বেশি শিক্ষক এখনও নির্দিষ্ট বেতনে কাজ করছেন, পূর্ণ সুবিধা ছাড়াই।
১২ নভেম্বরের ডেপুটেশনে সকল এসএসএ শিক্ষকদের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংঘ। দাবি না মানলে গণছুটি, রাস্তা অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। “সমান কাজে সমান বেতন ও মর্যাদার লড়াই এটি,” বলেন মুখপাত্র।
এই আন্দোলন ত্রিপুরার শিক্ষাক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের গভীর সংকটকে তুলে ধরছে। সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি মামলা চলছে। আগামী দিনে সরকারের সাড়া এবং আদালতের রায়ই নির্ধারণ করবে হাজারো শিক্ষকের ভবিষ্যৎ।
