নিউজ ডেস্ক || তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত তিপরা মথার যোগদান সভায় বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই তিন দলই কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতি করে, জনগণের ভবিষ্যৎ ও আগামী প্রজন্মের কথা তাঁদের চিন্তায় নেই।
প্রদ্যোত কিশোর বিশেষভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ তুলে বলেন, “বিজেপি ধর্মের নামে রাজনীতি করে। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করে, অথচ মুখে বলে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। থানসা বললে সাম্প্রদায়িক, কিন্তু সবকা বিকাশ বললে একতা? এ কেমন দ্বিচারিতা?” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, টাকার বিনিময়ে জনজাতিদের বিজেপিতে যোগদান করানো হচ্ছে। তাঁর মতে, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কোনো চিন্তা করেন না, তাঁদের তিপরা মথায় কোনো স্থান নেই।
বিজেপির চলমান যোগদান অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করে প্রদ্যোত বলেন, “যেভাবে বিজেপিতে যোগদান চলছে, তাতে মনে হচ্ছে জনজাতি জনসংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। কারণ, চারজন যোগ দিলে দিল্লিকে বলা হচ্ছে ৪০০ জন যোগ দিয়েছে। এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচন জেতা যায় না।”
সাম্প্রতিক বনধ প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন, তিপরা মথা কখনোই বনধের সমর্থন করে না। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসে থাকাকালীনও বনধ সমর্থন করিনি। বনধ হলে গরিব মানুষের কষ্ট হয়। তিপরা মথা আসার পর থেকে ত্রিপুরায় কোনো দাঙ্গা বা অশান্তি হয়নি, কারণ আমি সস্তার রাজনীতি করি না।”
প্রদ্যোত কিশোর জোর দিয়ে বলেন, তিপরা মথা ত্রিপুরার জনগণের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করে। তিনি বলেন, “আমরা ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, তিপ্রাসাদের উন্নয়নের জন্য লড়াই করছি।”
এই সভায় তাঁর বক্তব্যে ত্রিপুরার রাজনীতিতে নতুন দিশা ও স্বচ্ছতার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রদ্যোত কিশোর, যা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
