ত্রিপুরায় সিজা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || খয়েরপুর সংলগ্ন আরকে নগরে ৯০০ কোটি টাকার সিজা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে নতুন মাত্রা দেওয়ার এই প্রকল্পে ২৮ একর জমি বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রোগীদের আস্থা নির্ভর করে চিকিৎসকদের দক্ষতার ওপর। ডাক্তারদের নিজেদের সবসময় আপডেট রাখতে হবে।” তিনি জানান, জিবি হাসপাতালে ২৫০ কোটি টাকায় ৯টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগ চালু হলেও বাইরে রেফারের অভিযোগ থামেনি। সিজা কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে আস্থা রেখে সরকার এই বিশাল প্রকল্পের পথ প্রশস্ত করেছে। সিজা ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় একাধিক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সাফল্য দেখিয়েছে।
গুজরাটের উন্নয়ন মডেলের প্রসঙ্গ টেনে ডাঃ সাহা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটকে মডেল রাজ্য করেছিলেন। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ত্রিপুরায় গুজরাটের বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করছি।” তিনি আমেদাবাদে ফরেনসিক ওডোন্টলোজি বিষয়ে বক্তৃতার অভিজ্ঞতা ভাগ করে ত্রিপুরার ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয়েও এই বিষয় চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রকল্পের প্রভাব ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাসপাতাল চালু হলে খয়েরপুর-আরকে নগর এলাকার হাজারো মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। এই করিডর দিয়েই শুরু হবে রিং রোড ও বাইপাস। ইউনিটি মল, গুর্খাবস্তিতে জি+১৪ ভবন, মাল্টি-লেভেল কার পার্কিং ও শিলচরের ক্যান্সার হাসপাতালের কাজও জোরকদমে এগোচ্ছে।
দিল্লির নর্থ ইস্ট ইনভেস্টর সামিটে ত্রিপুরার জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন স্পিকার রতন চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিত্যে ও সিজা সিএমডি।
সিজা হাসপাতাল ২০২৭-এর মধ্যে চালু হলে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বের স্বাস্থ্যহাবে পরিণত হবে। জনজাতি-অজনজাতি কর্মসংস্থান বাড়বে, রাজ্যের বাইরে চিকিৎসার খরচ কমবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, “একটি হাসপাতালই পাল্টে দেবে গোটা এলাকার চেহারা।”
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version