ত্রিপুরায় স্কাউটস এন্ড গাইডের জাতীয় সংহতি শিবিরের উদ্বোধন

2 Min Read

আগরতলায় প্রথম জাতীয় সংহতি শিবির ২০২৫-এর উদ্বোধন: স্কাউটস এন্ড গাইডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক || আগরতলার পূর্বাশা কমপ্লেক্সস্থিত আরবান হাটে আজ প্রথম জাতীয় সংহতি শিবির ২০২৫ – “এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত” কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই শিবিরে দেশের ১৮টি রাজ্য থেকে ৩৬৮ জন স্কাউটস এন্ড গাইড, ৫০ জন রোভার্স এন্ড রেঞ্জারস এবং বিভিন্ন অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করেছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই শিবির, যা ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের উদযাপন হিসেবে পালিত হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা তাঁর স্কুলজীবনের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, তিনি স্কাউটস এন্ড গাইডের পরিবর্তে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (এনসিসি) বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে জুনিয়র ডিভিশন বয়েজ ক্যাম্পে ত্রিপুরা রাজ্যের সেরা ও স্মার্ট ক্যাডেট হিসেবে তাঁকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “এনসিসি আমাকে দেশপ্রেম ও ইতিবাচক চিন্তাভাবনার শিক্ষা দিয়েছে, যা স্কাউটস এন্ড গাইডের সদস্যরাও অর্জন করতে পারেন।” তিনি আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী দলগুলিকে অভিনন্দন জানান।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্কাউটস এন্ড গাইড প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, ভূমিকম্প, দুর্ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাঁদের মূলমন্ত্র “প্রস্তুত থাকা” এবং গাইডদের জন্য “সার্ভিস বিফোর সেলফ” সমাজসেবার গুরুত্ব তুলে ধরে। স্কাউটস এন্ড গাইডরা প্রাথমিক চিকিৎসা, জরুরি সেবা, দুর্যোগ প্রস্তুতি, যোগাযোগ ও টিম ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন।
তিনি আরও জানান, ত্রিপুরায় বর্তমানে ২১৪টি উচ্চ ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কাউট এন্ড গাইড ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রায় ৬,০৭০ সদস্য ও ২১৪ ইউনিট লিডার রয়েছেন। এছাড়া, ৫০টি নতুন ইউনিট খোলার প্রস্তাব রয়েছে এবং ৩৬৫ জন রোভার ও রেঞ্জারস রয়েছেন। তিনি স্কাউটস এন্ড গাইডকে যুব বিকাশের স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, পশ্চিম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিত শীল, বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এল ডার্লং, ভারত স্কাউট এন্ড গাইডসের সহ অধিকর্তা অমলেন্দু শর্মা সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version