নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (ডোনার) মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ কামনা করে মন্ত্রী জ্যো-tiraditya Scindia-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। আজ কেন্দ্রীয় ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রকের দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্প ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আবেদন জানান।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী আগরতলার এম.বি.বি. বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু, রাজ্যের জিমন্যাসিয়াম একাডেমিকে ন্যাশনাল জিমন্যাস্ট একাডেমি হিসেবে ঘোষণা, এন.এইচ.-০৬ রাস্তার উন্নয়ন, প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যে ছাড় এবং রাজ্যে এইমস স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রকের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে শিল্প স্থাপনে উদ্যোগীদের উৎসাহিত করার রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীও তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরার জি.এস.ডি.পি. এবং মাথাপিছু গড় আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং রাজ্য বর্তমানে ফ্রন্ট রানার রাজ্য হিসেবে এগিয়ে চলেছে।
ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রাজ্যের এই অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ত্রিপুরার উন্নয়নের মডেল উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের জন্য অনুকরণীয়। তিনি ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ট্যুরিজম সার্কিটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন এবং কৈলাসহর বিমানবন্দর থেকে ১৯ আসন বিশিষ্ট বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া, পাম চাষের প্রসার ও কর্মসংস্থানমুখী উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় রাজ্যের গুড গভর্নেন্স দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, আই.টি.আই.-এর আধুনিকীকরণ, ইন্টিগ্রেটেড লজিস্টিক হাব, ক্যুইন আনারসের গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং, পাম চাষ, আগর উড প্রোডাক্টের বিপণন এবং কৈলাসহর এয়ারপোর্ট পুনরায় চালুর মতো বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপগুলি সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তিনি ২০৪৭-এর লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে সরকারের পরিকল্পনার রূপরেখাও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন।
এদিন সচিবালয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগ প্রসারে মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্সের দ্বিতীয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন পলিসি, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী চিহ্নিতকরণ, মার্কেটিং লজিস্টিকস এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। ডোনার মন্ত্রী এই টাস্ক ফোর্সের কাজের প্রশংসা করে ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি চালু এবং ল্যান্ড ব্যাঙ্ক পোর্টালে আপলোড করার পরামর্শ দেন।
সভায় নাগাল্যান্ডের উপমুখ্যমন্ত্রী টি. আর. জেলিয়াং, সিকিমের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী টি. ভুটিয়া, মেঘালয় প্রশাসনের সচিব বি. কে. বক্সি সহ রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই আলোচনা ত্রিপুরার উন্নয়নের পথে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।