নিউজ ডেস্ক || ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। জিরানিয়া মহকুমার বেলবাড়ি আরডি ব্লকের গোবিন্দ কমিউনিটি হলে আয়োজিত ‘ধরতি আভা জন ভাগিদারী অভিযান’-এর জেলাভিত্তিক মেগা প্রচার কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, “জনজাতিদের প্রকৃত উন্নয়ন ছাড়া ত্রিপুরার উৎকর্ষ সম্ভব নয়। আমাদের সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে এবং জনকল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের প্রায় ৭০০ জনজাতি গোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ চলছে। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি জনজাতি সম্প্রদায় থেকে এবং ত্রিপুরার রাজপরিবারের একজন সদস্য তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছেন। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে।”
তিনি বিরোধীদের ভিত্তিহীন অভিযোগের সমালোচনা করে বলেন, “২০১৪-এর আগে দেশে এবং ২০১৮-এর আগে ত্রিপুরায় দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার ঘটনা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে। পূর্ববর্তী সরকার জনজাতিদের শুধু ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বিজেপি সরকার জনজাতি সহ সকলের উন্নয়নে কাজ করছে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরায় পানীয় জল, জনজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল, বহুমুখী বিপণন কেন্দ্র, জমির পাট্টা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, এবং সড়ক নির্মাণের মতো বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ধরতি আভা জন ভাগিদারী অভিযানের আওতায় রাজ্যের ৮টি জেলার ৫২টি ব্লকে ৩৯২টি রাজস্ব গ্রামে ৭৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি উপকৃত হবে। এই প্রকল্পে ২০টি রাজ্য দপ্তর যুক্ত রয়েছে।
তিনি ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্রু সমস্যার সমাধান করেছে, যা পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকার অবহেলা করেছিল। ব্রু প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের অবশিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
কর্মসংস্থানের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯,০০০ সরকারি চাকরি প্রদান করেছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আরও অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।”
অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায়, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, পশ্চিম জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলাধিপতি বিশ্বজিত শীল, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব কে শশী কুমার, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার, পুলিশ সুপার ড. কিরণ কুমার কে সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিরা বিভিন্ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
