ত্রিপুরার পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ঐতিহাসিক সাফল্য: গ্রেড এ পেল ৪২টি পঞ্চায়েত, কোনো গ্রেড ডি নেই

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবস্থান ধরে রেখেছে। পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, ত্রিপুরার ৪২টি পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত এডভান্সমেণ্ট ইনডেক্সে গ্রেড এ অর্জন করেছে। বিশেষভাবে গর্বের বিষয়, রাজ্যের কোনো পঞ্চায়েত গ্রেড ডি পায়নি। এছাড়া, ৭২৮টি পঞ্চায়েত গ্রেড বি এবং ৪০৬টি গ্রেড সি অর্জন করেছে।
আজ আগরতলার এডি নগরে স্টেট পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারে দুদিনব্যাপী পঞ্চায়েতী রাজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, “ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত আমাদের উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি। এর মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। আমাদের সরকার স্বচ্ছতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বিগত ৩৫ বছরে পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক আখড়া বানানো হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার তা থেকে বেরিয়ে এসেছে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের ৬০-৭০% মানুষ গ্রামীণ অঞ্চলে বাস করেন। তাই গ্রামীণ উন্নয়ন রাজ্যের জিএসডিপি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য কাজ চলছে। গ্রামীণ উন্নয়ন হলে শহরের উপর চাপ কমবে এবং রাজ্যের সামগ্রিক উন্নতি সম্ভব হবে।”
ত্রিপুরা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। রাজ্যটি ৭টি জাতীয় পুরস্কার জিতেছে এবং গোমতী জেলা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ জেলার মর্যাদা পেয়েছে। পঞ্চায়েত ডেবুলেশন ইনডেক্সে ত্রিপুরা এ বছর সারা দেশে ৭ম স্থান অধিকার করেছে, যা ২০১৫ সালে ছিল ১৩তম। উল্লেখযোগ্যভাবে, ত্রিপুরা ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পর্যন্ত ই-অফিস চালু হয়েছে, যা স্বচ্ছতা ও কাজের গতি বাড়িয়েছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের আওতায় প্রতিটি পঞ্চায়েতে পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিএফএমএস) চালু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত দপ্তরের মন্ত্রী কিশোর বর্মন, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, অধিকর্তা প্রসূন দে, ভারত ইনিসিয়েটিভ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর নীরব কুমার কিশোর গিলানি সহ বিভিন্ন জেলার সভাধিপতি, চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে সুশাসন পৌঁছে দিতে হবে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে ত্রিপুরাকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version