নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আজ গোমতী জেলার কাকড়াবন সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ভার্চুয়ালি কাকড়াবন সরকারি ডিগ্রি কলেজ এবং ডিস্ট্রিক্ট ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডায়েট)-এর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট গার্লস হোস্টেলের উদ্বোধন করেন। এই উদ্যোগ রাজ্যের দূরবর্তী এলাকায় গুণগত শিক্ষা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অতীতের শিক্ষাক্ষেত্রের অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কমিউনিস্ট শাসনকালে শিক্ষার নামে প্রহসন চলত। নকশালপন্থীদের কারণে স্কুল-কলেজে নৈরাজ্য, বোমা হামলা ও অনিশ্চয়তা ছিল সাধারণ ঘটনা।” বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মাওবাদী নির্মূলের প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
সাহা সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা প্রায় ২০,০০০ চাকরি প্রদান করেছি, কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই। অতীতে ১০,৩২৩ পদ নিয়ে যে অব্যবস্থা ছিল, তা এখন নেই।” ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে জিএসডিপি ও মাথাপিছু আয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং নীতি আয়োগের তরফে ‘ফ্রন্ট রানার’ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত।
শিক্ষাকে ‘জাতির মেরুদণ্ড’ আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষা শুধু পাঠ্যজ্ঞান নয়, মূল্যবোধ ও জাতি গঠনের হাতিয়ার।” ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এবছর কাকড়াবন, আমবাসা ও করবুকে তিনটি নতুন ডিগ্রি কলেজ চালু হচ্ছে। কাকড়াবন ডায়েট ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ স্কিমে মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ১৩ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ লাভ করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে; রাজ্যকে শিক্ষা হাবে পরিণত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এই উদ্যোগগুলি ত্রিপুরার যুবসমাজকে সশক্ত করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।
