নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরাকে স্বাস্থ্য হাব হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। আজ আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের (এজিএমসি) ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এ কথা বলেন। তিনি জানান, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং চিকিৎসার জন্য বহিরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করা এই কলেজ আজ সারা দেশে তার গরিমার জন্য পরিচিত। কলেজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা সকলকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের এই গরিমা ধরে রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে এজিএমসি-তে এমবিবিএস কোর্সে ১৫০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে ১১৮টি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য, ২২টি কেন্দ্রীয় নোমিনি এবং ১০টি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। এখন পর্যন্ত ১,৪৮৪ জন এমবিবিএস পাশ করেছেন, যার মধ্যে ১,২৭০ জন রাজ্যের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন। এছাড়া, ২০টি বিষয়ে ৮৯টি পিজি আসন রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী গর্বের সঙ্গে বলেন, রাজ্যে এখন কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের মতো জটিল চিকিৎসাও সম্ভব হচ্ছে। জেলা হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো আধুনিকীকরণে রাজ্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে কলেজের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এবং ‘উদিচি’ ওয়াল ম্যাগাজিনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমবিবিএস ও পিজি কোর্সে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের জন্য ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিতো, রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী শুভকরানন্দজি মহারাজ, কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপ কুমার সাহা প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস এবং মেডিক্যাল এডুকেশনের অধিকর্তা ডা. এইচ. পি. শর্মা।