নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরা মৎস্য উৎপাদনে উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এবং মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে গোটা দেশে শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডঃ) মানিক সাহা। তিনি বলেন, রাজ্যের ৯৯.৩৫ শতাংশ মানুষ মাছ খান, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আজ আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান, বস্ত্রদান ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই তথ্য তুলে ধরেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরায় বর্তমানে বছরে প্রায় ৯৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। মাছের চাহিদা পূরণে রাজ্য সরকার আরও উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পুকুর খননে ‘অমৃত কাল’-এ ত্রিপুরা নজির সৃষ্টি করেছে।
রক্তদানের গুরুত্ব তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জনসংখ্যার ১ শতাংশ, অর্থাৎ ৪০ হাজার ইউনিট রক্ত ব্লাড ব্যাংকে মজুত থাকা প্রয়োজন। তিনি জানান, “মানুষ মানুষের জন্য” এই নীতি মেনে রক্তদানের মাধ্যমে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি। রক্তের কোনও ধর্ম বা জাত নেই। রক্তদানে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার শীঘ্রই একটি নিজস্ব পোর্টাল চালু করতে চলেছে।
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বাজারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুবীর দাস এবং সম্পাদক ভবতোষ দাস।