নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আজ প্রজ্ঞাভবনে রাজ্যভিত্তিক ‘ধরতী আবা জনভাগিদারী অভিযান’-এর শুভ সূচনা করেছেন। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যা রাজ্য সরকারের একটি প্রধান উদ্দেশ্য। ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ কর্মসূচি।
এই অভিযানের মাধ্যমে জনজাতি অধ্যুষিত ভিলেজ কমিটিগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে বিভিন্ন পরিষেবা শিবির, যেখানে ২০টি দপ্তরের সেবা সহজলভ্য হবে। মন্ত্রী জানান, জনজাতিদের একটি বড় অংশ এখনও সরকারি সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন। এই অভিযান সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। ক্রীড়া ও সুস্থ সংস্কৃতির চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে যুব সমাজকে।”
সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠন জনজাতিদের উন্নয়নের মাধ্যমেই সম্ভব। ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়ি অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে।” এছাড়া, ন্যাশনাল শিডিউল ট্রাইবস ফাইনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান টি. আর. পাইতেও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী ও অতিথিরা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য অনলাইন স্মার্টক্লাসের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। এছাড়া, জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করা হয়। সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনকারী দুই জনজাতি ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শুভাশিস দাস এবং সমাজসেবী বিপিন দেববর্মা।
এই অভিযান জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নে এক নতুন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ত্রিপুরার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।