নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা গতকাল মেলাঘরে তিন দিনব্যাপী নীরমহল জল উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই উৎসবে তিনি নীরমহল ও রুদ্রসাগরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ব্যাপকভাবে প্রচারের ওপর জোর দেন, যাতে আরও বেশি পর্যটক আকৃষ্ট হয়। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি এবং এলাকার বাসিন্দাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরার পর্যটন খাতের উন্নয়নে স্বদেশ দর্শন কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে, যার মধ্যে নীরমহলও অন্তর্ভুক্ত। ভারতের অন্যতম জল মহল নীরমহল এবং এর চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ।
নীরমহল ও রুদ্রসাগরের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের জীবন গভীরভাবে জড়িত। রাজ্য সরকার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রায় ৬০,০০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী সকলকে শান্তি বজায় রেখে “এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা” গড়ার জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা নৌকা প্রতিযোগিতা, রাজ্য পর্যায়ের সাঁতার, উপ-বিভাগীয় যোগব্যায়াম এবং রাজ্য পর্যায়ের মনসামঙ্গল প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন। উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মন, সিপাহীজালা জেলা পরিষদের চেয়ারপার্সন সুপ্রিয়া দাস দত্ত এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল।
নীরমহল জল উৎসব ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করেছে, এবং এটি রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।