নিউজ ডেস্ক || দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৬৫ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মহিলাটি নেপালের কারাগার থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি মাদক পাচারের অভিযোগে নেপালে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।
গতকাল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে সাব্রুমে পৌঁছানোর পর সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার কারণে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। প্রথমে নিজেকে দিল্লির পুরানি বস্তির বাসিন্দা সাহিনা পারভীন বলে পরিচয় দিলেও, বৈধ কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি ফোন নম্বর উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিলাটি দাবি করেন, তিনি তিন বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং দিল্লিতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। তবে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার বক্তব্য মিথ্যা বলে স্বীকার করেন এবং নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করেন। সাব্রুমের এসডিপিও জানিয়েছে, মহিলাটির নাম নিক আখতার বানু। তিনি পাকিস্তানের শেখুপুরা জেলার চক নং ৩৭১, ইয়ংগানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. গোলাফ ফারাজের স্ত্রী।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, প্রায় ১২ বছর আগে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে নেপাল ভ্রমণ করেছিলেন নিক। ২০১৪ সালে এক কেজি ব্রাউন সুগার রাখার অভিযোগে নেপাল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সম্প্রতি তিনি নেপালের কারাগার থেকে পালিয়ে আসেন এবং দুই সপ্তাহ আগে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করেন।
তদন্তে জানা গেছে, এজেন্টদের নির্দেশে তিনি বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে কোনো সীমান্ত ক্রসিং না পেয়ে তিনি ট্রেনে করে ত্রিপুরায় পৌঁছান এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমের উদ্দেশ্যে সাব্রুমে আসেন।
বর্তমানে রাজ্য পুলিশের একটি যৌথ দল এই পাকিস্তানি মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচারের অভিযোগে তদন্ত চলছে। পুলিশ এই ঘটনার পেছনে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সন্ধান করছে।
