নিউজ ডেস্ক || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সন্ধ্যায় জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন, যেখানে তিনি ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এটি তাঁর অষ্টম জাপান সফর হলেও, জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে এটিই হবে তাঁর প্রথম শীর্ষ বৈঠক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ-সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করবেন। এছাড়াও, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে মতবিনিময় হবে, যা ভারত ও জাপানের ‘স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপ’-কে আরও জোরদার করবে।
ভারত ও জাপানের সম্পর্ক আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ২০০০ সালে ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ’ হিসেবে শুরু হওয়া এই সম্পর্ক ২০১৪ সালে ‘স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপ’-এ উন্নীত হয়েছে। গত এক দশকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২২.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাপানের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ভারতে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
এই সফরের দ্বিতীয় পর্বে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ৩১শে আগস্ট থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর আমন্ত্রণে এই সফরে তিনি একাধিক সদস্য রাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। ভারত ২০১৭ সালে এসসিও-র পূর্ণ সদস্য হয় এবং ২০২২-২৩ সালে এর সভাপতিত্ব করে।
এই সফরগুলির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদী পূর্ব ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করার সুযোগ পাচ্ছেন। জাপান ও চীনের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা ভারতের কূটনৈতিক নীতি ও আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।