নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা শুক্রবার আগরতলার সিভিল সচিবালয়ে ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০তম বর্ষ উপলক্ষে রাজ্যস্তরীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন এবং বছরব্যাপী উদযাপন কর্মসূচির সূচনা করেন, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশব্যাপী চলবে।
‘জাতি গঠনের পবিত্র মন্ত্র’ হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’-কে বর্ণনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৮৭০-এর দশকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এটি রচনা করেন এবং ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসে প্রকাশিত হয়। স্বদেশী ও বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে এটি শক্তিশালী অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। ব্রিটিশ আমলে নিষিদ্ধ হলেও ১৯৫০ সালে গণপরিষদ এটিকে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “‘বন্দে মাতরম’ মাতৃভূমিকে দেবী রূপে উপস্থাপন করে জাতি, ধর্ম ও ভাষার সীমা অতিক্রম করে গভীর মানসিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন তৈরি করেছে।” ১৮৯৬ সালে কলকাতায় কংগ্রেস অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এটি গেয়েছিলেন এবং ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট এটি রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে প্রথম ব্যবহৃত হয়।
রাজ্যের সব জেলা, মহকুমা, ব্লক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও কলেজে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। শিক্ষার্থীদের গানটির ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন করার আহ্বান জানিয়ে ডঃ সাহা বলেন, “এই কর্মসূচি ‘বিকশিত ভারত’ গঠনে নাগরিকদের অনুপ্রাণিত করবে, যা প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঐক্যবদ্ধ ও উন্নত ভারতের আহ্বানের প্রতিধ্বনি।”
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ডাকটিকিট, স্মারক মুদ্রা ও বিশেষ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। দেশজুড়ে গণসঙ্গীতের আয়োজন হয়।
৭ নভেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত চলবে এই উদযাপন। ত্রিপুরায় এটি সাংস্কৃতিক গর্ব ও দেশপ্রেম জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, বিশেষত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করবে।
