‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর উদ্‌যাপনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী ইনডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী উদ্‌যাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে তিনি গানটিকে ঔপনিবেশিক দাসত্বের যুগে ভারতের জাগরণের কণ্ঠস্বর বলে অভিহিত করেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর অক্ষয় নবমীর দিন এই গান রচনা করেন এবং পরে তা তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ-এ স্থান পায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দাসত্বের যুগে ‘বন্দে মাতরম’ হয়ে উঠেছিল ভারতের জাগরণের কণ্ঠস্বর, এমন এক ঘোষণা যা বলেছিল মা ভারতীর শৃঙ্খল ভাঙবে তাঁরই সন্তানদের হাতে।”
তিনি গানের পংক্তি উল্লেখ করে বলেন, “‘সুজলাং সুফলাং, মালয়জ শীতলাং, শস্যশ্যামলাং, মাতরম!’—এই পংক্তিতে মাতৃভূমির প্রতি প্রণাম নিবেদন করা হয়েছে, যিনি সৌন্দর্য, ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যে ভরপুর।” মোদি জানান, অনেকে ভেবেছিলেন এটি কেবল একটি গান, কিন্তু ধীরে ধীরে তা হয়ে উঠেছে কোটি কোটি ভারতবাসীর জাগরণের প্রতিধ্বনি।
স্বাধীনতা আন্দোলনে গানটির ভূমিকা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বীর সাভারকরসহ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী একে অপরকে ‘বন্দে মাতরম’ বলে অভিবাদন জানাতেন। অনেকে মৃত্যুদণ্ডের মঞ্চেও এই ধ্বনি তুলেছিলেন।” প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৮৭৫ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
গত ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দেশজুড়ে বৃহৎ আকারে উদ্‌যাপনের অনুমোদন দেয়, যাতে তরুণ প্রজন্ম ও ছাত্রছাত্রীরা গানটির বিপ্লবী চেতনার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে। বিজেপি এই উপলক্ষে এবং আদিবাসী বীর ভগবান বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বছরব্যাপী এই উদ্‌যাপন দেশের যুবসমাজে জাতীয় গর্ব ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জাগরূক করবে। ‘বন্দে মাতরম’-এর চিরন্তন বার্তা ভারতের অতীত সংগ্রাম ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাকে একসূত্রে বেঁধে রাখবে।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version