নাগাল্যান্ড সরকার বর্ষার পূর্বে প্রস্তুতি জোরদার করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
নিউজ ডেস্ক || নাগাল্যান্ড সরকার বর্ষা মৌসুমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজ্যের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার নাগাল্যান্ড সিভিল সেক্রেটারিয়েটের মুখ্যমন্ত্রীর কনফারেন্স হলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা নাগাল্যান্ড স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনএসডিএমএ)-এর চেয়ারম্যান নেইফিউ রিও।
বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং বর্ষাকালে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রাপ্যতা, রাস্তা ও সেতুর অবস্থা, বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং জনগণের কল্যাণে জরুরি তহবিল বরাদ্দ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী রিও জেলাগুলিতে জরুরি পণ্যের প্রাপ্যতা যাচাই, ফেয়ার প্রাইস শপগুলিতে ভোক্তা অধিকার রক্ষা এবং জাতীয় সড়কে ট্রাকের লোড সীমা নির্ধারণের উপর কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেন। তিনি প্রশাসন ও পুলিশকে ট্রাফিক মসৃণ রাখতে নিয়মিত রোড চেক পরিচালনার পাশাপাশি স্টেট কোয়ালিটি কন্ট্রোল বোর্ড পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
রাস্তা ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রী জি. কাইতো আয়ে জানান, নাগাল্যান্ডের জনগণ টেকসই ও মানসম্পন্ন রাস্তা চায়, এবং এনএইচআইডিসিএল-কে এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরকে জরুরি তহবিল বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দেন এবং সংবেদনশীল এলাকায় দ্রুত সংস্কার ও যন্ত্রপাতির প্রস্তুতি হালনাগাদ রাখার নির্দেশ দেন।
পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মন্ত্রী জ্যাকব জিমোমি জানান, নাগাল্যান্ডের আর্দ্র মাটির প্রকৃতি বিবেচনায় রাস্তা নির্মাণে মাটি পরীক্ষা ও সঠিক প্রোটোকল মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। তিনি কনট্রাক্টরদের নির্মাণের পর অবশিষ্ট সামগ্রী ফেলে না রাখার নির্দেশ দেন।
এনএসডিএমএ-র যুগ্ম প্রধান নির্বাহী জনি রুয়াংমেই জানান, ২০২৫ সালের বর্ষায় বৃষ্টিপাত অপ্রত্যাশিত ও অমসৃণ হতে পারে, যা কৃষিকাজে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি ডেটা-ভিত্তিক পরিকল্পনা ও জনসম্পৃক্ত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে পিডব্লিউডি, এনএইচআইডিসিএল, হেলথ ও ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার, খাদ্য ও ভোক্তা সুরক্ষা, এইচজি, সিডি, এসডিআরএফ/এনডিআরএফ-এর প্রতিনিধিরা পৃথক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বর্ষার প্রস্তুতি ও রোড রেজিলিয়েন্স প্ল্যান তুলে ধরেন।
শেষে, মুখ্যমন্ত্রী রিও চিফ সেক্রেটারিকে সমস্ত ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট সংগ্রহ ও তদারকির নির্দেশ দেন।