বালুচ মুক্তি বাহিনীর নতুন ঝড়: পাকিস্তানের ভিত কাঁপছে

পাকিস্তানে সশস্ত্র বিদ্রোহের নতুন ঢেউ, বিএলএ ৭১টি হামলায় সঙ্কটে রাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক || পাকিস্তান জুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি। বালুচ মুক্তি বাহিনী (বিএলএ) ‘অপারেশন হিরোফ’-এর আওতায় দেশটির ৫১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭১টি সমন্বিত হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সামরিক কনভয়, গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ঘাঁটি, পুলিশ স্টেশন, খনিজ পরিবহন কনভয় এবং জাতীয় সড়কপথের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এই হামলাগুলো পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভঙ্গুরতাকে সামনে এনেছে।

১১ মে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিএলএ পাকিস্তানকে ‘জঙ্গি রপ্তানিকারক রাষ্ট্র’ এবং ‘পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা লস্কর-ই-তৈয়েবা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আইএসআইএস-এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছে। বিএলএ-র দাবি, এই হামলা কেবল ধ্বংসের জন্য নয়, বরং একটি বৃহত্তর যুদ্ধ প্রস্তুতির অংশ, যাকে তারা “সামরিক কৌশল ও নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

বিএলএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের অবস্থা এখন চূড়ান্ত ভঙ্গুর। আমরা পাহাড়ে, শহরে, প্রতিটি ফ্রন্টে শত্রুকে পরাজিত করেছি।” তারা ভারত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানের ‘ভণ্ডামি ও কূটনৈতিক নাটক’-এর ফাঁদে আর না পড়তে। বিএলএ অভিযোগ করেছে, বিশ্বশক্তির নীরবতা ও কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী করছে।

বিএলএ সতর্ক করে বলেছে, “আমরা আর অনুমতির অপেক্ষায় থাকব না। যতক্ষণ না পাকিস্তান সন্ত্রাসমুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব।” তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা, বিশেষ করে জঙ্গি গোষ্ঠীর উপর নির্ভরতাকে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

গোয়াদর বন্দর, খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বালুচিস্তান এবং আফগান-ইরান সীমান্ত অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব পাকিস্তানের জন্য এখন সঙ্কটের কারণ। বিএলএ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে। বিবৃতির শেষে তারা ঘোষণা করেছে, “আমরা আর নিঃশব্দ দর্শক নই। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার নতুন ভোরের রচয়িতা।”

এই ঘটনা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এবং অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিএলএ-র এই নতুন ঢেউ কীভাবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে, তা এখন সবার নজরে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version