“বিরোধীদের ঘুম ভাঙানো অসম্ভব!” – বিপ্লব কুমার দেবের কটাক্ষে রাজনৈতিক তরঙ্গ

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || সদ্য সমাপ্ত সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের পর রাজ্যে ফিরেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। সংসদে বিরোধীদের হৈ-চৈ ও কার্যক্রম অচল করার প্রচেষ্টার জন্য তিনি তাঁদের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। বিশেষত, বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন এবং ৩০ দিনের জেল হলে মন্ত্রিত্ব হারানোর বিল নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জবাবে বিপ্লবের কটাক্ষ, “বিরোধীরা জেগে ঘুমায়, তাঁদের ঘুম ভাঙানো অসম্ভব!” এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন চর্চার জন্ম দিয়েছে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে আলোচনা দাবি করলেও, স্বশাসিত সংস্থার সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জবাব দেবেন, এই সহজ প্রশ্নই তাঁরা বুঝতে চান না। তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের প্রতিনিধি দলকে আলোচনার জন্য ডেকেছিল, কিন্তু তাঁরা সেখানে না গিয়ে দিল্লির রাজপথে আন্দোলনের নামে “নাটক” মঞ্চস্থ করেছেন। তাঁর বিদ্রুপ, “দুই পা হাঁটতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁরাই জনগণের জন্য লড়াইয়ের হুঙ্কার দেন!”
বিপ্লবের দাবি, বিরোধীদের কাছে কোনও জনমুখী ইস্যু নেই, তাই তারা সংসদ অচল করার ফন্দি এঁটেছিলেন। তবে, তাঁদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তিনি জানান, বিরোধীদের হৈ-চৈয়ের মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার জনস্বার্থে বিল পাস করতে সক্ষম হয়েছে। “অপারেশন সিঁদুর” নিয়ে বিরোধীদের আলোচনার দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের “শরীরে সিঁদুর মেখে দিয়েছেন,” বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
বিহারের রাজনীতি নিয়েও এদিন তিনি সরব হন। বিপ্লব বলেন, বিহার জগজীবন রামের মতো মহান নেতাদের জন্মভূমি এবং জরুরি অবস্থার সময় কঠোর আন্দোলনের কেন্দ্র। কিন্তু রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদব তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিনের সঙ্গে মিছিলে অংশ নিয়ে বিহারের জনগণের মান-সম্মানে আঘাত হেনেছেন। স্ট্যালিনের বিহারীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিপ্লব বলেন, তিনি এজন্য কোনও অনুতাপ প্রকাশ করেননি, বরং রাহুল-তেজস্বীর সঙ্গে মিছিলে শামিল হয়েছেন। এটিকে তিনি বিরোধীদের “রাজনৈতিক দেওলিয়াপনার” প্রমাণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বিপ্লব দৃঢ়ভাবে বলেন, বিহারের জনগণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর আস্থা রাখবেন এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তা প্রমাণিত হবে। তাঁর কথায়, “বিহারের মানুষের আত্মসম্মানে আঘাতকারীদের জবাব ভোটের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”
এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিহারের আগামী নির্বাচনের গতিপ্রকৃতির দিকে সকলের নজর রয়েছে।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version