বিশালগড় জাঙ্গালিয়ায় রাতারাতি তিন চুরির ঘটনা: মন্দির-বাড়িতে হানা দিয়ে লুটপাট, পুলিশের জালে কুখ্যাত নেশাখোর চোর

2 Min Read
নিজস্ব প্রতিনিধি || ত্রিপুরার বিশালগড় জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চোরের দলের দুঃসাহসিক হামলায় তিনটি স্থানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কালী মন্দির, শনি মন্দির এবং স্থানীয় এক অসহায় মহিলার বাড়িতে হানা দিয়ে চোরেরা সোনার আলংকার, আসবাবপত্র, নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী চুরি করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের ছায়া নেমেছে, জনমনে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে।
জানা গেছে, কালী মন্দিরে চোরেরা মা কালীর শরীর থেকে সমস্ত স্বর্ণালংকার উধাড় করে নেয়। একইভাবে শনি মন্দির থেকে সব ধরনের আসবাবপত্র লুট হয়। এছাড়া, এলাকার এক অসহায় মহিলার ঘরে ঢুকে চোরেরা নগদ অর্থসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব চুরি করে। এই তিনটি চুরির ঘটনা একই রাতে ঘটায় স্থানীয়রা রীতিমতো চিন্তিত। “এমন অসহায় অবস্থায় মন্দিরগুলোতে চুরি হবে, কে আবার বাড়িতে নিরাপদ থাকবে?” – এমন প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতুসী দাসসহ স্থানীয় নেতৃত্বরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন। অভিযোগকারী সৌরভ সিংহ নামে এক ব্যক্তি এই তিন চুরির ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিশালগড় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৮৬/২৫ (বিএলজি)।
মামলা হাতে নেয়ার পর বিশালগড় থানার পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, এই চুরির ঘটনায় জড়িত এক কুখ্যাত চোর বিপ্লব দাস, যিনি জাঙ্গালিয়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে খুলে যায় যে, বিপ্লব দাস বিভিন্ন নেশায় আসক্ত। নেশার জন্য টাকার যোগাড় করতে সে নিয়মিত এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ করে চলেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তার সঙ্গে আরও কয়েকজন চোর জড়িত থাকতে পারে।
যদিও গ্রেফতার চোরের কাছ থেকে চুরি হওয়া সামগ্রী এখনও উদ্ধার করা যায়নি, তবে পুলিশ আশাবাদী। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশালগড় থানায় সাংবাদিক সম্মেলনে ওসি বিজয় দাস বিস্তারিত জানান, “আমরা দ্রুত সমস্ত চুরি সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হব। তদন্ত চলছে, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।”
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version