বিশালগড় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার গুরুতর অভিযোগ, আহত যুবকের পরিবারের কান্না

2 Min Read

নিজস্ব প্রতিনিধি || বিশালগড় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ জুন, শনিবার, চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের কাছে পেট্রোল পাম্পের সামনে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত যুবক দুলাল মিয়া (২৩)-কে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে তাকে আটকে রেখে ৫,০০০ টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও স্থানীয় এক মাতব্বরের বিরুদ্ধে।

দুলাল মিয়া তার টিআর ০৭ জে ৪৬৩৩ নম্বরের মোটরবাইক নিয়ে পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ একটি অটো গাড়ির ধাক্কায় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অল্টো গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে পড়েন। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকলেও, ঘটনাস্থলের কাছে থাকা বিশালগড় থানার পুলিশ কোনও উদ্ধারকারী পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি দমকল বাহিনীকে কল করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবর্তে, পুলিশ ও স্থানীয় এক মাতব্বর দুলালকে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছ থেকে ৫,০০০ টাকা দাবি করে। দরিদ্র পরিবারটি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে মাতব্বরের হাতে তুলে দেয়।

ঘটনার পর দুলালকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলে তার পা ফুলে মোটা হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, তার একটি পা দুই জায়গায় ভেঙে টুকরো হয়ে গেছে। বর্তমানে দুলাল বিছানায় শয্যাশায়ী। তার বাবা সামসু মিয়া ও মা আমিনা বিবি সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরে পুলিশের অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন। তারা বলেন, “অনেক কষ্টে ছেলের জন্য একটা বাইক কিনে দিয়েছিলাম। পুলিশ কীভাবে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে?”

দুলালের বাড়ি চড়িলাম ব্লকের বড়জলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধের পাড় এলাকায়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গোটা এলাকার মানুষ। তারা পুলিশের এই আচরণের তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

এই ঘটনা পুলিশের দায়িত্ব ও মানবিকতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় প্রশাসন এই অভিযোগের তদন্ত করবে কি না, সেদিকে নজর রাখছে গোটা এলাকা।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version