বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনে বিশ্বাসের সংকট: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্যারা-লিগ্যাল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || বিহারে আসন্ন নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও সংশয়ের মূলে রয়েছে “বিশ্বাসের ঘাটতি”, বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জয়মাল্য বাগচী। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্যারা-লিগ্যাল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা যেতে পারে।
বিহারের একাধিক রাজনৈতিক নেতা ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের সময়সীমা ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। এই আবেদনের শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাকেশ দ্বিবেদী জানান, সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও দাবি ও আপত্তি গ্রহণ করা হবে এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেও তা বিবেচনা করা হবে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আপত্তি জানাচ্ছে, যা অস্বাভাবিক। তিনি বলেন, “এই প্রক্রিয়া নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য, বাদ দেওয়ার জন্য নয়।”
বিচারপতি সূর্যকান্ত মন্তব্য করেন, “এই পুরো বিষয়টি বিশ্বাসের ঘাটতির সমস্যা। রাজনৈতিক দলগুলি যদি আরও সক্রিয় হয়, তাহলে এই বিভ্রান্তি দূর হতে পারে।” তিনি পরামর্শ দেন, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্যারা-লিগ্যাল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলিকে অনলাইন আবেদনপত্র জমা দিতে সহায়তা করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিহার লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যানকে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে সমস্ত জেলায় প্যারা-লিগ্যাল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের নির্দেশ জারি করতে এবং তাঁদের নাম ও মোবাইল নম্বর প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ উদ্যোগ চলাকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভুয়ো ভোটার ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে, যা রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ও সংশয় তৈরি করেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকার উপর নতুন আলোকপাত করেছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা বজায় রাখতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version