নিউজ ডেস্ক || তিথি অনুযায়ী বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে ভাইফোঁটা—ভাই-বোনের চিরন্তন ভালোবাসা ও মমতার প্রতীকী উৎসব। রাজধানী আগরতলাসহ ত্রিপুরার সর্বত্র সকাল থেকেই উৎসবের আমেজে মুখরিত পরিবেশ। চন্দনের ফোঁটা, রঙিন আরতি থালা, প্রদীপের আলো আর মিষ্টির সুবাসে ভরে উঠেছে প্রতিটি ঘর।
বোনেরা আজ ভাইদের কপালে চন্দন বা সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে তাদের দীর্ঘজীবন, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছেন। প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি, মিষ্টি খাওয়ানোর মাধ্যমে বোনেরা ভাইদের প্রতি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে, ভাইয়েরা বোনদের উপহার দিয়ে তাদের সারা জীবন রক্ষার অঙ্গীকার করছেন।
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুযায়ী, যমরাজ ও যমুনা দেবীর কাহিনি থেকেই ভাইফোঁটার উৎপত্তি। যমুনা দেবী তার ভাই যমরাজের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেছিলেন, আর সেই থেকে এই প্রথার সূচনা। এই উৎসব শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি পারিবারিক বন্ধন, স্নেহ ও সম্পর্কের এক সামাজিক উৎসব।
ত্রিপুরায় সকাল থেকেই মন্দিরে পূজা, ফুলের সাজ, আলো আর মিষ্টির আয়োজনে মেতে উঠেছে ঘরবাড়ি। ছোটরা আনন্দে মেতেছে, বয়োজ্যেষ্ঠরা পারিবারিক মিলনের এই মুহূর্তে আবেগাপ্লুত। শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়, মনের বন্ধনের ভাই-বোনেরাও আজ একে অপরের কপালে ফোঁটা দিয়ে বন্ধুত্ব ও মানবিকতার বন্ধনকে আরও মজবুত করছেন।
ভাইফোঁটা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি ভাই-বোনের অটুট সম্পর্কের মাধুর্য ও ভালোবাসার প্রতীক। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—“ভাই-বোনের বন্ধন চির অটুট, চির অনন্য।”
