ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, সন্ত্রাসী হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা

2 Min Read

ভারতের কড়া বার্তা: সন্ত্রাসী হামলা এখন যুদ্ধের সমান, পাকিস্তানের উসকানির জবাবে কঠোর পদক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক || ভারত সরকার এক কঠোর সিদ্ধান্তে ঘোষণা করেছে যে, ভবিষ্যতে দেশের ওপর যে কোনো সন্ত্রাসী হামলাকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তুঙ্গে। দুই দেশই একে অপরের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় তার সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, “পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্তে তাদের বাহিনী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” তিনি জানান, পাকিস্তান পাঞ্জাবে উচ্চ-গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং শ্রীনগর, আওয়ান্টিপুরা ও উদমপুরের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে। “এসব হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে,” বলেন তিনি।

কর্নেল কুরেশি আরও জানান, শনিবার ভোর ১টা ৪০ মিনিটে পাকিস্তান পাঞ্জাবের ভারতীয় বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ড্রোন, দীর্ঘ-পাল্লার অস্ত্র, লুইটারিং মিউনিশন এবং জেট ব্যবহার করে পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্তের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি পাকিস্তানের এই হামলাকে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘উত্তেজনা বৃদ্ধির চরম দৃষ্টান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এই উসকানির সম্পূর্ণ দায় পাকিস্তানের।” পাকিস্তানের ধর্মীয় স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিকে ভারত ‘নির্বোধ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তানের ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস’ সংক্রান্ত দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। টাইমস্ট্যাম্পযুক্ত ছবি প্রকাশ করে সেনাবাহিনী প্রমাণ করেছে যে পাকিস্তানের দাবি করা বিমান ঘাঁটি ধ্বংসের তথ্য অসত্য। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। শত্রুপক্ষের সব হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের রাহিম ইয়ার খান এলাকায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

পাকিস্তানের এস-৪০০ ব্যবস্থা এবং সুরাটের বিমান ঘাঁটি ধ্বংসের দাবিকে ‘মিথ্যা প্রচারাভিযান’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সিং। তিনি জানান, ভারত শুধুমাত্র নির্ধারিত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে এবং উত্তেজনা না বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে, পাকিস্তানের কাছ থেকেও একই ধরনের আচরণ প্রত্যাশিত।

এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version