নিউজ ডেস্ক || ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন আধ্যাত্মিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েকের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি জানান, ১৯৬০ সালে গুজরাটের আরাবল্লীতে পাওয়া ভগবান বুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ দর্শনের জন্য শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হবে। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালিতে অবস্থিত তিরুকোনেশ্বরম মন্দিরের সংস্কারে ভারত সহযোগিতা করবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। আমরা পারস্পরিক আস্থা ও সদিচ্ছার ভিত্তিতে এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।” বৈঠকে মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। তিনি জানান, “মৎস্যজীবীদের বিষয়ে আমরা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছি। তাঁদের মুক্তি এবং নৌকা ফেরত পাঠানোর বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর আমরা জোর দিয়েছি।”
দুই দেশের নেতার এই বৈঠক ভারত-শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের এই সম্পর্ক শুধু ঐতিহাসিক নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্যও একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করছে।” এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।