নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার সতর্কতায় লখনউয়ের একটি হোটেলে ভুয়ো পরিচয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী প্রশান্ত মোহনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্কতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিএম।
গত ৩০ অক্টোবর কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির সম্মেলনে যোগ দিতে লখনউয়ে পৌঁছান ডা. সাহা। ম্যারিয়ট হোটেলে ওঠার পর বিহারের বাসিন্দা প্রশান্ত মোহন নিজেকে অর্থ মন্ত্রকের অতিরিক্ত কমিশনার ও লখনউ পুলিশ কমিশনারের আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে সাক্ষাতের সুযোগ পান। কথোপকথনে সন্দেহ হলে মুখ্যমন্ত্রী তাকে বের করে দেন এবং নিরাপত্তা কর্মীদের জানান। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো আইআরএস ও আইএএস আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, আইফোন, আধার-প্যান কার্ড এবং ট্রলি ব্যাগ। তদন্তে বেরিয়েছে, দিল্লির শক্তিপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত একাধিকবার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি রাজনীতিকদের সঙ্গে ছবি তুলে তা দিয়ে অন্যদের প্রতারণা করতেন। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
“এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আগামীতে সকলকে আরও সতর্ক থাকতে হবে,” বলেছেন ডা. সাহা। তিনি জানান, প্রশাসনিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে অনেকেই আসেন, কিন্তু এবার সন্দেহ হওয়ায় সত্য প্রকাশ পেয়েছে। তদন্তে নিরাপত্তা ঘাটতির কারণ বেরোবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ঘটনাটি ভিআইপি নিরাপত্তা প্রোটোকলের দুর্বলতা তুলে ধরেছে। রাজ্যের বাইরে সিএম-এর ভ্রমণে আগাম তথ্য যাচাইয়ের নিয়ম থাকলেও তা যথাযথ মানা হয়নি। পুলিশ প্রশান্তের অতীত রেকর্ড খতিয়ে দেখছে, যা অনুরূপ প্রতারণার আরও ঘটনা উন্মোচন করতে পারে। এটি সারা দেশে ভিআইপি সুরক্ষায় কঠোর যাচাইয়ের দাবি জোরালো করেছে।
