মৃদু কম্পনেও আতঙ্কিত শহর, অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের ভবনে গভীর ফাটল!
আজ সকালে হঠাৎ করে মৃদু ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠল ত্রিপুরার বিশালগড় শহর। যদিও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা খুব বেশি ছিল না, তবু শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক। দোকানপাটের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রাস্তায় চলা পথচারী, সবাই ছুটে বেরিয়ে আসেন খোলা জায়গায়। অনেকে আত্মীয়-পরিজনের খোঁজ নিতে ফোন করতে থাকেন।
বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর না মিললেও ভূমিকম্পের ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশালগড় অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের অফিস ভবন। কম্পন থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভবনের একাধিক কক্ষের দেয়ালে গভীর ফাটল দেখা যায়।
দপ্তরের কর্মীরা জানান, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ হঠাৎ কাঁপুনি শুরু হলে সবাই বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরে ভবনের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, প্রধান কার্যালয়ের ঘর, স্টোর রুম ও কর্মীদের বসার জায়গার দেয়ালে নতুন নতুন ফাটল পড়ে গেছে। কয়েক জায়গায় ফাটল এতটাই গভীর যে পলেস্তারা খসে পড়েছে।
“আমরা নিজেরাই দমকল কর্মী, অথচ আমাদের অফিস ভবনই এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে,” হতাশার সুরে বলেন দপ্তরের এক আধিকারিক।
বর্তমানে ভবনের কাঠামোগত নিরাপত্তা যাচাই করতে পূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের ডাকা হয়েছে। আপাতত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জাম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে দপ্তরের কার্যক্রম অন্য কোনো ভবনে স্থানান্তরিত হতে পারে।
এই ঘটনার পর বিশালগড়বাসীর মনে ফের প্রশ্ন উঠেছে, পুরনো সরকারি ভবনগুলির নিরাপত্তা ও মেরামতির ব্যাপারে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? অনেকেই দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে সমস্ত সরকারি ভবনের স্ট্রাকচারাল অডিট করা হোক।
