নিউজ ডেস্ক || আসন্ন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মধ্যে ৩১ আগস্ট একটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। চীনের তিয়ানজিন শহরে আয়োজিত এই সম্মেলনে দুই নেতার প্রায় এক বছর পর প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হবে। এর আগে গত বছর অক্টোবরে তাঁদের শেষ বৈঠকের পর ভারত-চীন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-সংক্রান্ত উত্তেজনা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘোষণা করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মধ্য এশিয়ার একাধিক নেতার সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। এই বৈঠকগুলো এসসিও সম্মেলনের পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর চীন সফরে গিয়েছিলেন, যা ছিল ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর তাঁর প্রথম চীন সফর। সেই সফরে তিনি প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী মোদির শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। জয়শঙ্কর এক টুইটে বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট শিকে অবহিত করেছি। এই বিষয়ে আমাদের নেতাদের দিকনির্দেশনার মূল্য অপরিসীম।”
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারত-চীন সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দিয়েছিল। তবে সম্প্রতি কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পথে ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সাম্প্রতিক বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করা, পর্যটক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও অন্যান্য ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা সহজীকরণ ইত্যাদি।
কূটনৈতিক মহলের মতে, এই উদ্যোগগুলো ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। আসন্ন মোদি-শি বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতা আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।