নিউজ ডেস্ক || চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক আলোচনার চেয়ে বেশি চর্চায় উঠে এসেছে মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের উষ্ণতা। চীনের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সোমবার সকালে শীর্ষ ট্রেন্ডে পরিণত হয় ‘পুতিনের গাড়িতে মোদী’।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, সম্মেলনের মূল ভেন্যু থেকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থানে যাওয়ার আগে পুতিন প্রায় ১০ মিনিট মোদীর জন্য অপেক্ষা করেন এবং দুই নেতা একসঙ্গে পুতিনের গাড়িতে রওনা হন। এই ঘটনা চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়, যা দুই নেতার বন্ধুত্বের গভীরতাকে তুলে ধরে।
দুই দিনের চীন সফর শেষে নয়াদিল্লি ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এক্স-এ লিখেছেন, “চীনে একটি ফলপ্রসূ সফর শেষ করলাম। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি এবং বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছি। সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ।”
সম্মেলনে মোদী ভারতের নীতির তিনটি মূল স্তম্ভ — নিরাপত্তা, সংযুক্তি, ও সুযোগ — তুলে ধরেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ, গ্লোবাল গভর্ন্যান্স সংস্কারে সহযোগিতা এবং স্টার্ট-আপ, যুব সমাজ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সুযোগ সৃষ্টির উপর জোর দেন। সম্মেলনের সমাপ্তিতে ‘তিয়ানজিন ঘোষণা’ গৃহীত হয় এবং এসসিও-র পরবর্তী ঘূর্ণায়মান সভাপতিত্ব গ্রহণ করে কিরগিজস্তান।
মোদীর এই সফর কেবল ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও জোরালো করেনি, বরং তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
