রাজ্যে দশটি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটে জনগণের ব্যাপক সমর্থন, দাবি সিআইটিইউ নেতৃত্বের

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || দেশের দশটি ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে রাজ্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছেন সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দত্ত। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত সাধারণ মানুষ এই ধর্মঘটে সর্বাত্মকভাবে সাড়া দিয়েছেন। পরিবহন, শিক্ষা, ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধর্মঘটের প্রভাব স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।
শঙ্কর প্রসাদ দত্ত জানান, রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ যানচালক ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। কৈলাসহর, রাধানগর, উদয়পুর সহ বিভিন্ন মোটর স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি বের হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে শাসক দলের চাপের মুখে গাড়ি রাস্তায় বের করা হলেও যাত্রী সংকটের কারণে তা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। নাগেরজলা স্ট্যান্ডে প্রতিদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫৫টি ই-রিকশার ছাড়পত্র দেওয়া হলেও এদিন মাত্র ১২টি ই-রিকশা চলাচল করেছে। উদয়পুরে প্রতি ৮ মিনিটে বাস ছাড়ার পরিবর্তে এদিন ঘণ্টায় মাত্র একটি বাস ছেড়েছে, তাও যাত্রীশূন্য অবস্থায়।
শিক্ষাক্ষেত্রেও ধর্মঘটের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এমবিবি ইউনিভার্সিটি আগেই বন্ধের ঘোষণা করেছিল, এবং শহরের স্কুলবাসগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল না। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ এবং ইন্সুরেন Snake: সিআইটিইউ নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যে ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া মিলেছে, শাসক দলের ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর জানান, গ্রামীণ এলাকা থেকে শহরে শাকসবজির সরবরাহ বন্ধ ছিল, কারণ কৃষকরাও এই ধর্মঘটে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, গত এক মাস ধরে শাসক দল ধর্মঘটের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছে। মোটর স্ট্যান্ডে চালকদের গাড়ি বের করতে বাধ্য করা হয়েছে, দোকানপাট খুলতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে, সাধারণ মানুষ এই সব উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন।
সিআইটিইউ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এই ধর্মঘটে রাজ্যবাসীর অংশগ্রহণ অভূতপূর্ব। তারা এই সমর্থনের জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version