গ্যাস লিক সংকট: ওএনজিসি’র রুদ্রসাগর তেলক্ষেত্রে উদ্বেগ
নিউজ ডেস্ক || অসমের ভাটিয়াপাড়ার কাছে ওএনজিসি’র রুদ্রসাগর তেলক্ষেত্রের ওয়েল নং আরডিএস ১৪৭এ থেকে গত ১৪ দিন ধরে গ্যাস লিক অব্যাহত রয়েছে, যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং বড় ধরনের জরুরি প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন হয়েছে।
১২ জুন থেকে গ্যাস লিক শুরু হয়, যখন এসকে পেট্রো সার্ভিসেস নামে একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা রুটিন সার্ভিসিং অপারেশনের সময় একটি জোন ট্রান্সফার পারফোরেশন পরিচালনা করছিল। ওয়েলটি তখন অ-উৎপাদনশীল অবস্থায় থাকলেও ব্লাউআউট ঘটে।
ওএনজিসি একটি “গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক” অর্জন করেছে। ভারী ক্রেন ব্যবহার করে ৪২টি টিউবিং স্ট্যান্ড এবং রিগ বেস অপসারণ করা হয়েছে। ব্লাউআউট প্রিভেন্টার (বিওপি) ভেঙে ফেলার জন্য এবং ক্যাপিং স্ট্যাক স্থাপনের জন্য সাইটটি পরিষ্কার করা হয়েছে।
তিনজন মার্কিন ব্লাউআউট নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তিগত অংশীদার কাডের সঙ্গে কাজ করছেন, এখন সাইটে রয়েছেন। দিক্ষো নদী থেকে উচ্চ-চাপের জল ব্যবহার করে জলের আচ্ছাদন অব্যাহত রয়েছে, যদিও নদীর জলস্তর বৃদ্ধি লজিস্টিক জটিলতা সৃষ্টি করছে।
ওএনজিসি’র দাবি অনুসারে, গ্যাসটি অ-বিষাক্ত এবং ৫০০ মিটার ঝুঁকির ব্যাসার্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ৩৩০টিরও বেশি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে বাঙ্গাঁওয়ে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত হয়েছে। অসম সরকার প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২৫,০০০ টাকা প্রদান করেছে এবং চিকিৎসা দল ও বায়ু গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র মোতায়েন করেছে। ওএনজিসি’র দাবি, সব পরিবেশগত রিডিং নিরাপদ সীমার মধ্যে রয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরিকে ওএনজিসি’কে “মিশন মোড” গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। স্থানীয়রা ওএনজিসি’র ধীরগতির প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন, তাদের আরও স্বচ্ছতা ও তৎপরতার দাবি জানিয়েছেন।
ওএনজিসি জানিয়েছে যে তারা ওয়েলটি ক্যাপ করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে, তবে দ্বিতীয় সপ্তাহেও গ্যাস লিক অব্যাহত রয়েছে, আবহাওয়া এবং ভূখণ্ডের জটিলতার কারণে অপারেশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই ঘটনা জরুরি প্রস্তুতির সম্ভাব্য ঘাটতি তুলে ধরেছে, যদিও সংস্থাটি পরিবেশ এবং সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি করছে।