নিউজ ডেস্ক || গত ২৩ অক্টোবর তিপরা সিভিল সোসাইটির ডাকা বন্ধের নামে শান্তিরবাজারে ব্যাপক লুটপাট, মারধর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা মার মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী সরকারের “অপদার্থতা” ও প্রশাসনের “নিষ্ক্রিয়তা”র তীব্র সমালোচনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও আর্থিক সাহায্যের দাবি জানান।
গত ২৩ অক্টোবরের বন্ধ চলাকালীন তিপরা মথা সমর্থকদের একাংশ শান্তিরবাজারে দোকানপাট ভাঙচুর, লুট ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে বিজেপি সমর্থকদের পাল্টা হামলারও অভিযোগ উঠেছে। ফলে জাতি-জনজাতি নির্বিশেষে বহু ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “বন্ধের আড়ালে বিজেপি ও তিপরা মথা রাজ্যে জাতি-জনজাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল। শুরু থেকেই আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, বরং একপ্রকার সমর্থনই করেছে। সরকারের উদাসীনতা ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এত বড় ক্ষতি হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু আর্থিক সাহায্য দিলেও তা অপর্যাপ্ত। “এই সামান্য টাকায় স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব নয়,” বলে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে পুনরায় পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার প্রায় এক মাস পরেও অনেক দোকান পুরোপুরি চালু হয়নি এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শান্তিরবাজারের এই ঘটনা ত্রিপুরায় জাতি-জনজাতি সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির লক্ষণ। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, নিরাপত্তা ও দ্রুত বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন।
