শান্তিরবাজারে বনধের রাতে সন্ত্রাস, আহতদের দেখতে হাসপাতালে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন
নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার কমলপুর মহকুমার শান্তিরবাজারে তিপ্রা মথার প্রত্যক্ষ মদতে ত্রিপুরা সিভিল সোসাইটি কর্তৃক আহূত ২৪ ঘণ্টার বনধের রাতে সন্ত্রাস ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের দেখতে শুক্রবার জিবি হাসপাতালে ছুটে যান কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। এই ঘটনাকে তিনি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির একটি অপচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, “রাজ্যে ৮০-এর দশকের দাঙ্গার পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে একাংশ। বনধ আহ্বানকারী এবং এই অরাজকতার নেপথ্যে যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে মামলা রুজু করা প্রয়োজন।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বিজেপির অভ্যন্তরীণ অন্তর্কলহকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে প্রাক্তন। এই ধরনের রাজনৈতিক কৌশলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শান্তিরবাজারের এই ঘটনা কেবল স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আগামী দিনে রাজ্যের বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তারা মনে করছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে এই ধরনের রাজনীতি শাসক দল এবং তাদের জোট শরিকদের গণতান্ত্রিক কাঠগড়ায় তুলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাজনৈতিকভাবে মাইলেজ পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শান্তিরবাজারের ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন বিতর্ক ও উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে, যা আগামী দিনে আরও জটিল রূপ নিতে পারে।
