শ্লীলতাহানি নয় যৌন নিপীড়ন, পকসো মামলায় সাজা কমাল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক || মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এক যুগান্তকারী রায়ে জানিয়েছে, শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির ঘটনাকে যৌন নিপীড়নের সমতুল্য হিসেবে গণ্য করা যায় না। এই যুক্তির ভিত্তিতে বিচারপতি বিবেক অগ্রবাল এবং বিচারপতি দেবনারায়ণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ পকসো আইনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির ২০ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ৫ বছর করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল অনূপপুর জেলায়। অভিযুক্ত হরিকীর্তন শাহের বিরুদ্ধে পকসো আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ট্রায়াল কোর্ট ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে দাবি করেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার আগেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে, তাকে এসসি-এসটি অ্যাক্টের অধীনে মিথ্যে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখেন, ভুক্তভোগী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তার সঙ্গে শুধু শ্লীলতাহানি হয়েছিল, যৌন শোষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মেডিকেল রিপোর্টেও যৌন নিপীড়নের কোনও প্রমাণ মেলেনি, এমনকি ভুক্তভোগীর শরীরে কোনও অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
এই তথ্যের ভিত্তিতে হাইকোর্ট মন্তব্য করেছে, শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির অভিযোগে পকসো আইনের কঠোরতম ধারা প্রয়োগ করা অনুচিত। ট্রায়াল কোর্টের রেকর্ড খতিয়ে দেখে আদালত অভিযুক্তের সাজা ২০ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছরে নামিয়ে আনে।
আদালত আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পকসো আইনে ‘যৌন নিপীড়ন’-এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে শুধু শ্লীলতাহানির ঘটনায় কঠোর সাজা দেওয়া ন্যায়সঙ্গত নয়। এই রায় পকসো আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আইনজ্ঞরা মনে করছেন।
Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version