সমর্থন প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি: ত্রিপক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে হতাশা, প্রদ্যোতের দ্বিমুখী বক্তব্য

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || ত্রিপুরার রাজনীতিতে নতুন ঝড়ের আভাস। তিপরা মথা পার্টির বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন যে, ত্রিপক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে তিপরা মথা। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০ জুলাই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। রঞ্জিত দাবি করেছেন, এই সিদ্ধান্তে তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মার সম্মতি রয়েছে।
কিন্তু, এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। রথযাত্রার একটি উৎসবে অংশ নিয়ে তিনি দাবি করেন, রঞ্জিতের সাংবাদিকowa সম্মেলনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং সেখানে কী বলা হয়েছে, তাও তাঁর অজানা। তবে, তিনি রঞ্জিতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছেন। প্রদ্যোত স্বীকার করেছেন যে, ত্রিপক্ষিক চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিপ্রাসা সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। চুক্তি স্বাক্ষরের ১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এটি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও জানান, এডিসি এলাকায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিপ্রাসারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
প্রদ্যোত জানিয়েছেন, চলতি মাসের সপ্তাহান্তে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ত্রিপক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়ন ও তিপ্রাসাদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে আলোচনা করবেন। তবে, সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করেননি, যা তাঁর বক্তব্যে দ্বিমুখী সুরের ইঙ্গিত দেয়।
রঞ্জিত দেববর্মার ঘোষণা এবং প্রদ্যোতের বক্তব্যের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব ত্রিপুরার রাজনীতিতে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। তিপরা মথা এবং বিজেপি জোটের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আগামী দিনের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের উপর। ত্রিপক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়ন এবং নিরাপত্তার বিষয়ে তিপ্রাসাদের দাবি পূরণ না হলে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version