নিউজ ডেস্ক || সিপিএমের মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসে দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কেরলের প্রবীণ নেতা এম. এ. বেবি। সীতারাম ইয়েচুরির শূন্য পদে আসীন হওয়া এই নেতার নির্বাচনের ফলে দলের শীর্ষ পদে দক্ষিণ ভারতের প্রভাব আরও জোরালো হয়েছে। ১২ বছর ধরে রাজ্যসভার সাংসদ ও কেরলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এম. এ. বেবি কোল্লামের ভূমিপুত্র হিসেবে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে সিপিএমের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশ কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে, বয়সবিধির কারণে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ১৯৯৮ সাল থেকে ২৭ বছর ধরে পলিটব্যুরোর সদস্য থাকা মানিক সরকারের স্থানে ত্রিপুরা থেকে নতুন মুখ হিসেবে এসেছেন দলের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। এছাড়া, কেন্দ্রীয় কমিটিতে ত্রিপুরা থেকে নতুন চার সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন মানিক দে, রতন ভৌমিক, নরেশ জমাতিয়া এবং কৃষ্ণা রক্ষিত।
বয়সের নিয়মে পলিটব্যুরো থেকে বাদ পড়ার তালিকায় ছিলেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, সুহাষিনী আলি, সূর্যকান্ত মিশ্র, জি রামকৃষ্ণন ও মানিক সরকার। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের পি সুন্দরাইয়া ও ইএমএস নাম্বুদিরিপাদের পর সিপিএমের শীর্ষ পদে দীর্ঘদিন দক্ষিণী নেতৃত্বের আধিপত্য ছিল। পরবর্তীতে হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ ও প্রকাশ কারাটের হাত ধরে দল উত্থানের পথে হাঁটলেও, এবার ফের দক্ষিণের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ায় অনেকে অবাক হয়েছেন। সীতারাম ইয়েচুরির পর এম. এ. বেবির নেতৃত্বে সিপিএম কীভাবে এগোবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।