সীমান্তে উত্তেজনা, উপকূলে কড়া নজরদারি: ভারতীয় নৌবাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ

2 Min Read

নিউজ ডেস্ক || সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় নৌবাহিনী মুম্বাইয়ের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে। উপকূলবর্তী সংবেদনশীল এলাকায় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এই এলাকায় অননুমোদিত প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘শুট টু কিল’ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মৎস্যজীবীদের উপকূল রেখা বরাবর যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মুম্বাইয়ের মাছ ধরার নৌকাগুলির উপর সমীক্ষা চালানো হবে এবং একটি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে নৌবাহিনী জানিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাকিস্তান গুজরাটের কিছু মৎস্যজীবীর নৌকা জব্দ করেছে। যদিও মৎস্যজীবীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি আশঙ্কা করছে যে এই নৌকাগুলি ভবিষ্যতে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে, যেমনটি ২৬/১১ মুম্বাই হামলার সময় ঘটেছিল।

শুধু মুম্বাই নয়, কোঙ্কন সহ অন্যান্য উপকূলবর্তী এলাকাতেও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোঙ্কনে নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে কড়া নজরদারি চলছে। সাধারণ নাগরিকদের সন্দেহজনক নৌকা বা ব্যক্তি দেখলে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে পাকিস্তান-বিরোধী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত অভিযান পরিচালনা করেছে।

এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিতে পাকিস্তান-উৎপত্তি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হামলার চেষ্টা করা হয়, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল অনুসারে প্রতিহত করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এতে কোনো হতাহত বা বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।”

সীমান্তে উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version