হর ঘর তিরঙ্গা: দেশভক্তির উৎসবে মুখরিত ত্রিপুরা

2 Min Read
নিউজ ডেস্ক || দেশভক্তির ভাবনাকে সুদৃঢ় করতে এবং জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধার সংযোগ তৈরির লক্ষ্যে ত্রিপুরায় জোরকদমে পালিত হচ্ছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ২০২২ সালে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মবলিদানকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। আজ উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে ‘হর ঘর তিরঙ্গা র‍্যালি ২০২৫’-এর সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এ কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় পতাকা আমাদের গর্ব এবং দেশাত্মবোধের প্রতীক। এটি রাষ্ট্রীয় চেতনার প্রকাশ। প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব হল জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা।” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে এই কর্মসূচি ২ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে পালিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে (২-৮ আগস্ট) বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর মধ্যে ছিল বিদ্যালয়ের দেওয়াল অঙ্কন, তিরঙ্গা রাখী তৈরির প্রতিযোগিতা, তিরঙ্গা র‍্যালি, প্রদর্শনী স্টল, কুইজ, রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য শিবির ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় পর্যায়ে (৯-১২ আগস্ট) তিরঙ্গা মেলা ও তিরঙ্গা কনসার্টের মতো আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে (১৩-১৫ আগস্ট) রাজ্যজুড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি উদযাপিত হবে।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি জেলা, মহকুমা, পুরনিগম ও সাধারণ নাগরিকদের প্রতি এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। আজকের র‍্যালি উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে সমাপ্ত হয়। র‍্যালির শেষে মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে তিরঙ্গা মেলার উদ্বোধন করেন এবং রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নং হলে তিরঙ্গা কনসার্টে অংশ নিয়ে তা উপভোগ করেন।
র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version