১৩ দিনব্যাপী রাজ্যভিত্তিক যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

By onlinenews tripura 3 Min Read

রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যাতে কোনভাবেই হারিয়ে না যায় এর জন্য রাজ্য সরকার কাজ করছে

ধর্মনগর || রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে কোন অবস্থাতেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবেনা। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া কৃষ্টি ও সংস্কৃতিগুলিকে পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। আজ ধর্মনগরে ১৩ দিনব্যাপী রাজ্যভিত্তিক যাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে এই কথাগুলি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।

তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাত্রা, নাটক এগুলির মধ্যে বেঁচে থাকার রসদ রয়েছে। যাত্রার মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে যেমন জানা যায়, তেমনি সমাজকে বার্তা দেওয়া যায়। যাত্রার মাধ্যমে সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করা যায়। সমাজে যে কথা সরাসরি বলা যায়না, যাত্রার মাধ্যমে, নাটকের মাধ্যমে তা অনায়াসেই বলে দেওয়া যায়। সমাজ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে যাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগে শীতকাল এলেই মানুষ যাত্রা দেখার জন্য অপেক্ষা করতেন। কিন্তু বর্তমানে টেলিভিশন ও মোবাইল মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যাত্রা, নাটক, পুতলনাচ এগুলি মানুষ ভুলতে বসেছে। কিন্তু পুরনো ঐসকল কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যাতে কোনভাবেই হারিয়ে না যায় এর জন্য রাজ্য সরকার কাজ করছে। কিছুদিন আগে আগরতলায় বসন্ত উৎসব করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তা করা হয়েছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, বর্তমান সরকার রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশ সহ রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করছে। পরিকাঠামোগত দিক থেকে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে রাজ্যে। হারিয়ে যাওয়া কৃষ্টি-সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারে কাজ করছে বর্তমান সরকার।

এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বলেন, ধর্মনগর শহরকে ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শহরের পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়ণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব দেবপ্রিয় বর্ধন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক যাদবলাল নাথ, ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালী রাণী দস সেন, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা চাঁদনী চন্দ্রন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ।

উল্লেখ্য, ১৩ দিনব্যাপী রাজ্যভিত্তিক যাত্রা উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রাদলগুলি অংশগ্রহণ করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে যাত্রাপালা শুরু হবে। ১৪ ও ১৫ এপ্রিল যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবেনা। যাত্রা চলবে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version