৩ দিনব্যাপী ব্রহ্মকুন্ড মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী

By onlinenews tripura 3 Min Read

ধর্মীয় স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের সৌন্দর্যই শুধু বৃদ্ধি হচ্ছেনা, পর্যটন শিল্পও বিকশিত হচ্ছে 

আগরতলা || জাতি এবং জনজাতি অংশের মানুষের সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন বিভিন্ন মেলার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠে। রাজ্যের বর্তমান সরকার এই সমস্ত মেলার শ্রীবৃদ্ধির জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ বিকালে মোহনপুর মহকুমা প্রশাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং ব্রহ্মকুন্ড মেলা কমিটি আয়োজিত ৩দিনব্যাপী ব্রহ্মকুন্ড মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, মেলা মানেই বিভিন্ন অংশের মানুষের মিলন। রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন মেলার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা যাবে। রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকশিত এবং পরিপুষ্ট হবে।

তিনি বলেন, যেসমস্ত এলাকাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে সেই সমস্ত এলাকার উন্নয়নের দিকে রাজ্য সরকার বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। ধর্মীয় স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের সৌন্দর্যই শুধু বৃদ্ধি হচ্ছেনা, পর্যটন শিল্পও বিকশিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ধর্মীয় স্থানগুলিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথেই ত্রিপুরায়ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানের শ্রীবৃদ্ধির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ণ করা হচ্ছে। মানুষ এগুলির সুফল ভোগ করছেন।

স্বাগত ভাষণে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে ৩ দিনব্যাপী এই মেলা উপভোগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রহ্মাকুন্ড মেলা রাজ্যের এক ঐতিহ্যবাহী মেলা। এই মেলা প্রাঙ্গণটি ঘিরে ১৪ কোটি টাকার একটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছর থেকেই এর কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য রবীন্দ্র দেববর্মা, হেজামারা বিএসি’র চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সদস্য জয়লাল দাস, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সমীর রঞ্জন ঘোষ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ দত্ত প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version